শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন
চান্দগাঁও থানা এলাকায় শাহীনের লটারির নামে জুয়া ইয়াবা ও গাঁজার ব্যাবসা নিরব প্রশাসন
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ- চট্টগ্রাম ২০ শে নভেম্বর ২০২৫ইং
চান্দগাঁও থানা এলাকায় লটারির নামে জুয়া ইয়াবা ও গাঁজার ব্যাবসা চললেও নিরব প্রশাসন,
প্রতিদিন ৮ হাজার ৬০০ শত টাকার কোটায় প্রশাসনের নিরবতায় চান্দগাঁও থানার বশর বিল্ডিং এর সামনের খোলা জায়গায়, ও পাঠানিয়া গোদা ওসমানের দোকানের মোড়ে সিলেটি শাহিন ও নওগাঁ আশিক নামের দুই জুয়াড়ি দির্ঘদিন ধরে ঐ এলাকায় লটারির নামে প্রকাশ্যে জুয়া ও জুয়ার আড়ালে ইয়াবা ও গাঁজার ব্যাবসা পরিচালনা করে আসলেও প্রশাসনের নিরব ভূমিকা এলাকায় জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে ।
খেটে খাওয়া অসহায় সরল সোজা দিনমজুর ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ গুলোকে বোকা বানিয়ে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে দুই জায়গায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা,
খেলায় সিলেটি শাহিন ও নওগাঁ আশিকের অভিনব কৌশলে বোকা হচ্ছে সাধারণ মানুষেরা, লটারির ভ্যানের উপর চাউল,ডাউল, আটা, ময়দা থেকে শুরু করে হরেকরকমের পশরা সাজানো থাকে, প্রতি দুই তিন টানের পরপর দেওয়া হয় ২৫ কেজি ৫০ কেজি চাউলের বস্তা ৫ কেজি সয়াবিন তৈল, কিন্তু সেগুলো যারা পায় তারা সবাই তাদের সেটিং করা মানুষ, আকর্ষনের জন্য বারবার চাউলের বস্তা দেওয়ার নাটক সাজায়, যখনে এলাকার মহিলা ও পুরুষেরা টাকা ধরা শুরু করে আর কিছুই জোটে না তাদের কপালে সবাই একবস্তা চাউলের আসায় সারাদিনের ইনকাম টুকুও হারিয়ে হায় হায় করে মাথায় হাত দেন,
এব্যাপারে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
ওসি তদন্ত কে ফোন দিলে তিনি জানান, আমি নতুন আসছি এব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা,
৯৯৯ জরুরি সেবায় ফোন দিলে ১ ঘন্টা পরে এসআই ইমরান ফয়সাল ফোন করে জানান, আপনি এখানে আসেন আপনি আমাদের কে সাথে নিয়া যাবেন, পাশের থেকে তার ফোনে শোনা যায় এখানে আসতে বলেন, বলেন চিনতেছি না,আপনি এসে দেখায়ে দেন, এভাবেই পুলিশের সাথে সখ্যতা করে একই স্থানে চলছে লটারি জুয়া, ইয়াবা ও গাঁজার ব্যবসা,
বক্তব্য নেওয়ার জন্য, সিন্ডিকেটের মুলহোতা সিলেটি শাহিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে জানায়, আমি থানায় প্রতিদিন ৮৬০০/ আট হাজার ছয়শত টাকা কোটা দিয়া ব্যবসা করি সাম্বাদিক-ঠিক ( চু,,,) – দার টাইম নাই,পারলে পুলিশ পাঠান, পুলিশ এনে আমারে ধরায় দেন, বলে গালিগালাজ শুরু করে।
এর আগেও কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মিদের সাথে খারাপ ব্যবহার এবং মারপিট করলেও থানায় মামলা কিংবা জিডিও নেয়নি চান্দগাঁও থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, থানায় মামলা না হওয়ায় আদালতের মাধ্যমে মামলা হলেও বন্ধ হয়নি এসব জুয়া ও মাদকের ব্যবসা,
এলাকাবাসী বারবার থানায় জানালেও থানা থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
দিনমজুর রিক্সা চালক মজিদ সারাদিনের ইনকামের টাকা হারিয়ে বলেন, এখান থেকে যে কেউ গেলে তাদেরকে জোর করে খেলতে বাধ্য করে, তাদের পিছনে দাড়িয়ে থাকা দুই জন একজনের কাছে গাঁজা আরেকজনের কাছে ইয়াবা, যার যেটা প্রয়োজন সে সেটা নিতে পারে নির্দ্বিদায়। মূলতঃ এটি একটি মাদকের স্পট
এলাকার উঠতি বয়সী তরুণদের কে গাঁজায় আসক্ত ও ইয়াবা আসক্ত করার মূল স্পট এটা, এখানে কেউ কথা বললে মারপিট করে,তাই ভয়ে কেউ মুক খুলে না, আপনারা পারলে নিউজ করে পুলিশ কমিশনার স্যারকে জানান,
এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজের দাবি এই এলাকায় দির্ঘদিন ধরে এগুলো চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়না কোন ব্যবস্থা,
স্থায়ীভাবে জুয়া ও মাদকের স্পট বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তা ও পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকা বাসি।